Scrolling Text

ট্রাভেল ক্লাবে আপনাকে স্বাগত। আপনার বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিন সবার সাথে। লেখা ও ছবি পাঠাতে ক্লিক্‌ করুন Contact Us ট্যাবে।

Wednesday 25 July 2012

Special rebate of MTDC for the school students.



স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য MTDC ‘র বিশেষ ছাড়
 
মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (Maharashtra Tourism Development Corporation) স্কুল ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য মহারাষ্ট্রে তাদের হোটেলগুলোতে ২০% বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষনা করেছে।  ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল কত্তৃক আয়োজিত শিক্ষামুলক বা বিনোদনমূলক ভ্রমনের ক্ষেত্রে এই ছাড় পাবে। তবে ছাড় পাওয়া যাবে শুধু ঘর ভাড়ার ক্ষেত্রে, খাবার বা অন্য সুবিধার ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য নয়, এবং এই ছাড় পাওয়া যাবে শুধু সপ্তাহে পাঁচ দিন ( সোম থেকে শুক্র)। এমনিতে MTDC ‘র হোটেলগুলোয় ভাড়ার হার বেশ বেশী, MTDC কতৃপক্ষ তাই এ বিষয়ে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাবে বলেই আশা করছেন। বিস্তারিত জানা যাবে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। 

Sunday 15 July 2012

ইকোট্যাক্স এবং নতুন বন পর্যটন নীতি


ভারতবর্ষের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বনের মধ্যে থাকা তীর্থপর্যটন কেন্দ্র গুলিতে (৬০০র বেশী ) পর্যটন নিয়ান্ত্রনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ মন্ত্রক এক গাইডলাইন সুপারিশ করেছে। সুপ্রীম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ মন্ত্রক এই সুপারিশ গুলি করেছে। ওই সব জায়গাগুলোতে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ করে দেবার কথা না বললেও পরিবেশ মন্ত্রক স্বীকার করে নিয়েছে ব্যাঙের ছাতার মত পর্যটন পরিকাঠামো বৃদ্ধির কারনে ওই সব অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এই ধরনের জায়গাগুলোতে তাই স্থানীয় অধিবাসী ভিত্তিক এবং স্থানীয়

Friday 6 July 2012

Mussorie, the queen of hills.


পাহাড়ের রাণী মুসৌরী

Travel Mussorie, Location of Mussorie, Distance of Mussorie from different places, how to go to Mussorie , where to stay in Mussorie, places to visit near Mussorie,  shopping in Mussorie, weather of Mussorie.

ভারতবর্ষের পাঁচটা জনপ্রিয় হিল স্টেশনের নাম বলতে হলে একটা নাম অবশ্যই হবে মুসৌরী (Mussorie, मसूरी)। গাড়োয়াল হিমালয়ে প্রায় ৬৫০০ ফিট উচ্চতার এক সুন্দর পাহাড়ি শহর মুসৌরী। সাধারণ  মানুষের কাছে মুসৌরী পরিচিত পাহাড়ের রাণী নামে।  বাঙালীরা মুসৌরী উচ্চারণ করলেও স্থানীয় উচ্চারণে জায়গাটার নাম ‘মসুরী’।

Sunday 1 July 2012

Distance From Jammu


To know the distance from Jammu to different places becomes very important while planning a tour to Jammu & Kashmir. Jammu, the riverside city of Tawi, is the gateway to Kashmir valley. Unless you fly direct to Shrinagar by air you are to touch Jammu. It’s also the winter capital of the state Jammu & Kashmir.  ‘Jammu Tawi’ , the railway station of Jammu, is the last railway point that connects the mainland India. Jammu is also well connected by road with different palaces of Jammu & Kashmir as well as with the other parts of India. Here is a list showing the distance from Jammu to different places and approximate time taken to travel by bus. The time given here may differ depending upon the nature of vehicle and the condition of the road.

Thursday 28 June 2012

Tourists Boom in Kashmir


কাশ্মীরে পর্যটকের ঢল
Shrinagar., Kashmir
কার্ফুর কবলে নির্জন শ্রীনগর ৮-৬-২০১০। এ শুধু স্মৃতি হয়ে থাক।
এক সময় আতঙ্কবাদীদের আতঙ্ক কাশ্মীরকে পর্যটক শূন্য করে ছেড়েছিল। এমনকি ২০১০ সালেও জুন-জুলাই মাসে দিনের পর দিন প্রায় গোটা কাশ্মীর জুড়ে কার্ফু জারি থেকেছে। ঊপত্যাকার হোটেল গুলোর তখন ছিল মাছি তাড়ানোর অবস্থা। ক্লান্ত ভঙ্গিতে ফাঁকা পড়ে থাকত ডাল লেকের হাউসবোট গুলো। এ বছর পরিস্থিতি সম্পুর্ন আলাদা। রাজনৈতিক কারন যাই হোক কাশ্মীর এবার খুবই শান্ত। কাশ্মীর উপত্যকার সৌন্দর্য্য আর মনোরম আবহাওয়াকে চেটেপুটে উপভোগ করার জন্য তাই পর্যটকের ঢল নেমেছে। এ বছর এখনো পর্যন্ত সরকারী সুত্র অনুযায়ী খবর প্রায় সাড়ে পাঁচলাখ পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন, তার মধ্যে প্রায় সাতাশ হাজার বিদেশী পর্যটকও আছেন। গত বাইশ বছরে এটা একটা রেকর্ড। এরই মধ্যে গত ২৫শে জুন থেকে শুরু হয়েছে কাশ্মীরের অন্যতম প্রধান তীর্থ-পর্যটন অমরনাথ যাত্রা। তাতেও বেশ কয়েক লক্ষ পর্যটক কাশ্মীরে আসবেন। ফল হোটেলে তীব্র স্থানাভাব, ঘর ভাড়া কোথাও দ্বিগুন কোথাও বা তিনগুন। কাশ্মীরে যারা নিজেদের ঘর পর্যটকদের ভাড়া দেন সরকার তাদের  উৎসাহ দানের কথা ঘোষনা করেছে। সব মিলিয়ে  ভূস্বর্গ এখন গমগম করছে।

Sunday 24 June 2012

Aero-ballooning in Kashmir


বেলুনে চড়ে কাশ্মীর

কেমন হবে যদি কাশ্মীর (Kashmir)  বেড়াতে গিয়ে বেলুনে চড়ার সুযোগ পান। মাটি থেকে বেশ কয়েকশ ফুট ওপরে গিয়ে কাশ্মীর উপত্যকাকে দেখার সুযোগ অবশ্যই লোভনীয়।  কাশ্মীরে বেড়াতে আসা ট্যুরিস্টদের জন্য অতি সম্প্রতি (জুন-২০১২) অ্যারো-বেলুনিং (aero-ballooning) ব্যাবস্থা চালু হয়েছে শ্রীনগরে ডাল লেকের তীরে। এই ধরনের একটা বেলুন একবারে পাঁচজন লোককে নিয়ে ১০০ থেকে ১২০ মিটার উপরে উঠে যেতে পারে। তাহলে, পরের বার শ্রীনগর গেলে অবশ্যই চেপে দেখবেন এই বেলুনে।  

Saturday 23 June 2012

Shopping in Jammu


জমিয়ে কেনাকাটা জম্মুতে

ট্যুরিস্ট গন্তব্য হিসাবে জম্মুর গুরুত্ব তেমন কিছু নয়। জম্মুতে দেখার মত কিছুই নেই এমনটা অবশ্যই নয় তবে যা আছে তা দেখতে ওই বেশ কয়েক লক্ষ ট্যুরিস্ট প্রতি বছর জম্মুতে বেড়াতে যান না। আসলে জম্মু হল কাশ্মীর উপত্যকা ঢোকার প্রবেশ দ্বার। আপনি যদি সরাসরি আকাশপথে গিয়ে শ্রীনগরে না নামেন তা হলে আপনাকে তাওয়াই নদীর তীরের এই শহরটাকে ছুঁয়ে যেতেই হবে। এছাড়াও যেসব যাত্রী শুধু বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে তীর্থ করতে যান তারাও জম্মুকে ট্রান্‌জিট পয়েন্ট হিসাবে ব্যাবহার করেন। সারা বছরই তাই জম্মু ট্যুরিস্টে গমগম করে। পিক্‌ সিজিনে হোটেল গুলতে ঘরের অভাবও দেখা দেয়। একাধিক বার জম্মু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রথম বার জম্মু পৌঁছে অনেক ভ্রমণার্থীই বোকা বনে যান। জম্মু-কাশ্মীর কথাটা এক সাথে বলা হয় বটে তবে কাশ্মীরের সাথে জম্মুর আবহাওয়াগত বিশেষ কোন মিল নেই। শীতে জম্মুতে প্রচণ্ড শীত পড়ে আর গ্রীষ্মে অসহ্য গরম (তাপমাত্রা 40oC পার করে যায়)। আর কাশ্মীরের শ্যামলিমাও উধাও জম্মুতে নেমে। কেমন একটা রুক্ষ ভাব জম্মু-কাশ্মীরের এই শীতকালীন রাজধানীতে। তবে যারা বেড়াতে গিয়ে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন তাদের কাছে জম্মু বেশ আদর্শ জায়গা। কাশ্মীর দেখে ফিরে জম্মুতে জমিয়ে কেনাকাটা করে চেপে পড়ুন বাড়ি ফেরার ট্রেনে।

Tuesday 8 May 2012

HONEYMOON IN KUMAYUN


অনন্য কুমায়ূন – অসাধারণ হানিমুন 
 পঙ্কজ হাজরা ও সুমনা হাজরা রক্ষিত
Nainital Lake, Nainital
   প্রতি মুহূর্তে প্রকৃতির এই রঙ বদলের বহুরূপী খেলা কোনদিন যে দেখতে পাব ভাবিনি। বর্ধমান  স্টেশন- এর রিজার্ভেসনের লম্বা লাইনে তখন জানিনা যাত্রা নিশ্চিত কিনা। ২০১১ সালেরএপ্রিল মাসে যাত্রা স্থির হলেও টিকিট কাটাই হল প্রায় দুমাস আগে এবং শুরু হল হোটেল বুক করার জন্য নির্ভরযোগ্য সংস্থার খোঁজউত্তরাখণ্ড সরকারের কুমায়ূন মণ্ডল বিকাশ নিগম লিমিটেড (Kumayon Mandal Vikash Nigam Ltd.) এর বিশ্বাসযোগ্যাতায় ভর করে হোটেল বুকিং সাঙ্গ হল। ভ্রমনের আনন্দ যাতে নিরানন্দ না হয়ে যায় সে জন্য আমাদের নৈনিতাল (Nainital) ও কৌশানি (Koushani) যাত্রার পরিকল্পনা করা হল রাজধানীর পথ ধরে। হ্যাঁ, পণ্ডিতদের পরামর্শ  উপেক্ষা করে লক্ষ্ণৌ এর পথ না ধরে দিল্লীর পথই ধরলাম। বর্ধমান স্টেশন থেকে পূর্বা এক্সপ্রেসের side upper & lower সিট দুটি এই দম্পতির অস্থায়ী সংসারে পরিণত হল। কচিকাঁচাদের শিশুসুলভ আচার আচরণ দেখতে দেখতে কখন যে পাটনা-মুগলসরাই পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। রেলকোচের মৃদু আলোয় কিছুটা ম্যাগাজিন পড়া ও কিছুটা গান শোনায় যাত্রা ক্লান্তি দূর হল। দুপুরের অভুক্ত বাড়ীর তৈরি ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন দিয়ে আমরা আমাদের রাত্রের আহার সাঙ্গ করলাম। আস্বাভাবিক কোনো উপদ্রব ছাড়াই ঘুম ভাঙ্গল আলিগঢ় স্টেশনেনির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পরে দিল্লী স্টেশনে পৌঁছে পুরানো দিল্লীর নির্ধারিত হোটেলে আমরা উঠলাম। সেখানে সারাদিন বিশ্রাম নিয়ে ট্রেন যাত্রার ক্লান্তি দূর করে আবার আমাদের যাত্রা শুরু হল রাত ১০-টায়। রানিক্ষেত এক্সপ্রেসে সময়ের স্বল্পতার কারনে সংসার পাতা সম্ভব হল না । সঠিক সময়ে কাকভোরে কাঠগোদাম স্টেশনে পৌঁছে শুরু হল এক অদ্ভুত ভাল লাগা। চতুর্দিকে ছোট ছোট পাহাড় পরিবৃত উত্তরাখন্ডের এই সাজানো গোছানো স্টেশন ও তার মনোরম আবহাওয়া মুগ্ধ করে দেবার মতনসুর্যরশ্মির পৃথিবীতে আগমন ও আমাদের নৈনিতাল যাত্রা তালে তাল মিলিয়ে চলতে লাগল। খোঁপার কাঁটার অনুরূপ বাঁকের রোমাঞ্চ এবং একদিকের গভীর খাদের অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে অবশেষে আমরা নৈনিতাল পৌঁছালাম। হোটেলে চেক-ইন এর সময় দুপুর বারোটা হলেও ম্যানেজারের এর সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতায় সকাল সাড়ে ছ-টায় আমরা রুম পেয়ে গেলাম। একটি রাতের ব্যবধানে আবহাওয়ার আমূল পারিবর্তনে স্বভাবতই মনটা ভরে গেল। ঠাণ্ডায় প্রায় থরহরি কম্পমান হয়ে বেরিয়ে পড়লাম প্রকৃতি দর্শনে। 



Saturday 28 April 2012

AMARNATH YATRA 2012

 
অমরনাথ যাত্রা ২০১২
অমরনাথ যাত্রা ২০১২ শুরু হচ্ছে ২৫ শে জুন শেষ হবে ২রা আগস্ট। অমরনাথ যাত্রার জন্য সকল অমরনাথ যাত্রীকে বিশেষ রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ৭ই মে ২০১২ থেকে। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্ক (Jammu Kashmir Bank), ইয়েস ব্যাঙ্ক (Yes Bank) এবং স্টেট কো-অপেরেটিভ ব্যাঙ্কের (State Co-operative Bank)

Saturday 21 April 2012

DALHOUSIE, THE CHARMING HILL STATION OF HIMACHAL PRADESH.




অপরূপা ডালহৌসি
   অচ্যুত সিংহ


Experience of a trip to Dalhousie, Location of Dalhousie, History of Dalhousie, how to go to Dalhousie, best season to visit Dalhousie , where to stay at Dalhousie, places to visit near Dalhousie, pictures of Dalhousie, distance of different Places from Dalhousie.
ডালহৌসি (Dalhousie), নামটার সাথে পরিচয় দীর্ঘদিনের, কিন্তু কখনও যাওয়া হয়নি। এবারের ভ্রমন সূচীতে তাই নামটা রেখেছিলাম। ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসি’র (Lord Dalhousie) নামাঙ্কিত এই পাহাড়ি শহর ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল ১৮৫৪ সালে, তাদের গ্রীষ্মাবাস হিসাবে। বর্তমানে এই শহর হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায়। ১৯৬৬ সালে ডালহৌসি আসে হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে, তার আগে ছিল পাঞ্জাবে।

Snow peak,  Dalhousie
Snow peak from Dalhousie
পাঠানকোট (Pathankot) থেকে ডালহৌসির দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। তিন সাড়ে তিন ঘন্টার পথ। পাঠানকোট ছাড়াও জম্মু, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, জলন্ধর প্রভৃতি সমতলের শহরের সাথে ডালহৌসির সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। তবে ট্রেনে এলে পাঠানকোটে নেমে যাওয়াই সুবিধাজনক। প্লেনে এলে অমৃতসর বা জম্মুতে নামতে হবে। দু’জায়গা থেকেই ডালহৌসি মোটামুটি ১৯০ কিলোমিটার। এ পথে ট্যাক্সিও পাওয়া যায়। পাঠানকোট বাস স্ট্যান্ড থেকে ডালহৌসির বাসে চাপলাম, পাঞ্জাব রোডওয়েজ (Punjab Roadways) এর বাস। পাঠানকোট শহর ছাড়িয়ে বের হতেই শুরু হল সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। বাস থেকেই দেখা যাচ্ছে ধৌলাধার পর্বতমালা। শুরু হল পাহাড়ি অরণ্যের মধ্য দিয়ে বাস যাত্রা। প্রায় দু’ঘণ্টা পর একটা জায়গায় বাস থামল। মাঝে কয়েকবার থেমেছিল যাত্রী নামা ওঠার জন্য। এবার ১৫ মিনিটের যাত্রা বিরতি।  জায়গাটার নাম দুনেরা। এখানে প্রচুর আমগাছ, এমনকি জঙ্গলের মধ্যেও। এপ্রিল মাসে সব মুকুলে ভরা। আবার যাত্রা শুরু হল। দুনেরা থেকে ডালহৌসি ৩৫ কিলোমিটার। ধিরে ধিরে উচ্চতা বাড়ছে। ডালহৌসি যাওয়ার পথে পাহাড়ের প্রকৃতিরও পরিবর্তন ঘটে, প্রথম দিকে ছিল কোয়ার্টজ বোল্ডার, ধিরে ধিরে দেখা মেলে হিমালয়ের পরিচিত পাললিক শিলা। প্রায় তিন ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর এসে পৌঁছালাম ডালহৌসি বাসস্ট্যান্ডে।

Saturday 14 April 2012

AMARNATH YATRA, THE EXPERIENCE UNFORGETABLE.


Amarnath Yatra is probably the toughest pilgrimage in India. According to Hindu mythology Lord Shiva spoke the secret of immortality to His wife Devi Parvati in a cave of the Himalaya. This cave is now in the state Jammu & Kashmir. People go there from all over the country. The Yatra takes place every year in the months of Jully-August for about one month only. During other time of the year the place remains under the cover of deep snow and almost inaccessible. If you are not a so-called religious people you can join Amarnath Yatra as an adventure, where you can feel the thrill of trekking to an altitude of 14500 feet, face the challenge of ever changing weather and situations. You will be in the midst of nature in such a close proximity where there is nothing man made around you save few tents. But, beware of one thing, Himalaya does not tolerate audacity. You should also show respect to other people's  feelings.

অমরনাথের পথে
অচ্যুত সিংহ


এ পারফেক্ট স্কোয়ার। অমরদা, বিজয়, বিমান এবং আমি। চারজনে বেরিয়েছি; লক্ষ্য অমরনাথ গুহা। অনেক পরিকল্পনা, রেজিস্ট্রেশন (জম্মু-কাশ্মীর ব্যাঙ্কে অমরনাথ যাত্রী হিসাবে যাত্রা পারমিট নেওয়া), কেনাকাটা, গোছগাছ এবং প্রায় দুহাজার কিলোমিটার ক্লান্তিকর ট্রেনযাত্রা শেষ করে অবশেষে আমরা পৌঁছলাম জম্মু স্টেশনে। তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। যে ট্রেনে (হিমগিরি এক্সপ্রেস) এসেছি তা হাওড়ায় ছেড়েছিলই চব্বিশ ঘন্টা দেরিতে, অর্থাৎ আমরা আমাদের শিডিউল থেকে আঠাশ ঘন্টা পিছিয়ে। কাশ্মীর এর পরিস্থিতি খুব গোলমেলে। আসার আগে বহুবার টিভিতে দেখিয়েছে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। পুলিশ এবং প্যারামিলিটারিদের দিকে আন্দোলনকারীরা পাথর ছুঁড়েছে। আনেক জায়গায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে। বেশ কিছু যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় গোটা কাশ্মীর জুড়ে কার্ফুঅনেকেই তাই নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল; “কি দরকার বাপু, সুস্থ শরীরকে ব্যাস্ত করে”। তবুও আমরা যাচ্ছি।
Amarnath Cave
The Holy Amarnath Cave

achenar ananda

অচেনার আনন্দ

তুমি চলিয়া যাইতেছ .... তুমি কিছুই জানো না, পথের ধারে তোমার চোখে কি পড়িতে পারে, তোমার ডাগর নবীন চোখ বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধায় চারিদিককে গিলিতে গিলিতে চলিয়াছে---নিজের আনন্দের এ হিসাবে তুমিও একজন দেশ আবিষ্কারক। অচেনার আনন্দকে পাইতে হইলে পৃথিবী ঘুরিয়া বেড়াইতে হইবে, তাহার মানে নাই। আমি যেখানে আর কখনো যাই নাই, আজ নতুন পা দিলাম, যে নদীর জলে নতুন স্নান করিলাম, যে গ্রামের হাওয়ায় শরীর জুড়াইল, আমার আগে সেখানে কেহ আসিয়াছিল কিনা, তাহাতে আমার কি আসে যায়? আমার অনুভুতিতে তাহা যে অনাবিষ্কৃত দেশ। আমি আজ সর্বপ্রথম মন, বুদ্ধি, হৃদয় দিয়া উহার নবীনতাকে আস্বাদ করিলাম যে।।

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ekti dhaner sisher upor




বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
 
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
       
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা

দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
 
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
 
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শিষের উপরে

একটি শিশিরবিন্দু।

---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর