শুশুনিয়া পাহাড় |
শুশুনিয়া
শহরে জীবনের
চাপে ক্লান্ত হয়ে যারা প্রকৃতির কোলে হাত পা ছড়িয়ে একটা দিন কাটাতে চান ঘুরে আসতে
পারেন শুশুনিয়া (Susunia) । জায়গাটা একটা খুব জনপ্রিয় পিকনিক ষ্পট, কিন্তু ওই একটা মাস
বাদ দিলে প্রায় নির্জনই থাকে। প্রবল গ্রীষ্ম আর বর্ষাকাল এড়িয়ে চলাই ভাল। জঙ্গলে ঢাকা
এই পাহাড়ের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন প্রকৃতির মাঝে। শীতকালে
এলে পাহাড়ে ওঠার আনন্দ নিতে পারবেন। আর ফাল্গুনে এলে চারিদিকে আগুনরঙা পলাশ আপনাকে পাগল করে দেবে। একটা আর্টেজিয়ান কূপ আছে, নির্দ্বিধায় খান এর জল। আর আছে দু-হাজার বছরের পুরানো রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি। তবে এটি দেখতে হলে স্থানীয় কাউকে গাইড হিসাবে নিন- বেশ গভীর জঙ্গলের মধ্যে এটি।
এলে পাহাড়ে ওঠার আনন্দ নিতে পারবেন। আর ফাল্গুনে এলে চারিদিকে আগুনরঙা পলাশ আপনাকে পাগল করে দেবে। একটা আর্টেজিয়ান কূপ আছে, নির্দ্বিধায় খান এর জল। আর আছে দু-হাজার বছরের পুরানো রাজা চন্দ্রবর্মার শিলালিপি। তবে এটি দেখতে হলে স্থানীয় কাউকে গাইড হিসাবে নিন- বেশ গভীর জঙ্গলের মধ্যে এটি।
পাহাড়ের গায়ে জঙ্গল |
কিভাবে যাবেন- শুশুনিয়ার সবচেয়ে কাছের
রেলস্টেশন সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের ‘ছাতনা স্টেশন’ (Chhatna
Station) তবে সব ট্রেন এখানে দাঁড়ায় না। সবচেয়ে ভাল হল বাঁকুড়া
(24 k.m.) বা রাণীগঞ্জ (30 k.m) স্টেশনে নেমে
চুক্তিতে গাড়ী ভাড়া করে শুশুনিয়া আসা। দুর্গাপুর থেকেও আসা যাবে।
থাকবেন কোথায়- বেশীরভাগ লোকই সকালে শুশুনিয়ায়
এসে বিকেলে ফিরে যান, বা বাঁকুড়ার কোন হোটেলে থেকে পরের গন্তব্যে রওনা হন। তবে খুব
ভালোভাবে উপভোগ করতে হলে একরাত শুশুনিয়ায় থেকে যান। থাকার জন্য আছে ইউথ হোস্টেল,
পাব্লিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ইন্সপেকশন বাংলো আর সদ্য চালু হওয়া ‘মুরুতবাহা
ইকোপার্ক’ (Murutbaha Eco Park). বুকিং এর
জন্য সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করুন আর মুরুতবাহা ইকোপার্কে থাকার জন্য ফোন
করুন দেবাশিস কে – 8927444544 নম্বরে।
মুরুতবাহা ইকোপার্ক |
মুরুতবাহা ইকোপার্ক |
বসন্তে ফুলের আগুন- শুশুনিয়ায়।
|
No comments:
Post a Comment